Description
📚 রুশোর শিক্ষা-দর্শনের মূল বৈশিষ্ট্য
-
প্রাকৃতিক শিক্ষা (Naturalism):
রুশোর শিক্ষা-দর্শনের মূল ভিত্তি ছিল “nature is the best teacher”, অর্থাৎ প্রকৃতি-ই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিশুর বিকাশ স্বাভাবিক নিয়মে হওয়া উচিত, বাহ্যিক হস্তক্ষেপ ছাড়া। -
শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা (Child-Centered Education):
রুশো শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে শিশুদের স্থান দিয়েছেন। তার মতে, প্রতিটি শিশু স্বতন্ত্র এবং তার নিজের গুণাবলির ভিত্তিতে বেড়ে ওঠা উচিত। -
নেতিবাচক শিক্ষা (Negative Education):
এই ধারণায় তিনি বলেন, শৈশবে শিশুদের অতিরিক্ত পাঠ্যচাপ দেওয়া উচিত নয়। শিশুকে প্রকৃতির নিয়মে বেড়ে উঠতে দিতে হবে, বাহ্যিক জ্ঞান চাপিয়ে দেওয়া নয়। -
“এমিল” (Émile) গ্রন্থ:
রুশোর সবচেয়ে প্রভাবশালী শিক্ষা-সংক্রান্ত রচনা ‘Émile, or On Education’ (১৭৬২ সালে প্রকাশিত)। এই বইয়ে তিনি কল্পিত ছাত্র “এমিল”-এর মাধ্যমে আদর্শ শিক্ষাপদ্ধতি ব্যাখ্যা করেছেন। -
পর্যায়ক্রমে শিক্ষা:
রুশো শিশুর বিকাশকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করেন:-
শৈশব (০–৫ বছর): অনুভব ও সংবেদনের বিকাশ
-
শৈশব-পরবর্তী (৬–১২ বছর): ইন্দ্রিয় ও অভিজ্ঞতার বিকাশ
-
কৈশোর (১৩–১৫): বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ
-
যৌবন (১৬–২০): নৈতিক ও সামাজিক বিকাশ
-
🏛️ রুশোর শিক্ষা-দর্শনের প্রভাব
-
মন্টেসরি, ফ্রোবেল, পিয়াজে, ডিউই— এদের শিক্ষাদর্শেও রুশোর প্রভাব লক্ষণীয়।
-
আধুনিক শিশুবান্ধব শিক্ষাপদ্ধতির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রুশো।
-
তিনি প্রথম বলেন, “শিক্ষা শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের সহায়ক হতে হবে, বাধা নয়।“
Reviews
There are no reviews yet.